Tuj ko Allah ne har fazl ata farmaya.
Kounsa ilm hai jis me nahi hissa tera.
ڈالدی قلب میں عظمت مصطفیٰ
سیدی اعلٰیحضرت پہ لاکھوں سلام
বিশ্ব বরেণ্য মুজাদ্দিদ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রহমতুল্লাহি আলাইহি র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ।
তাঁর পিতামহ নাম রাখলেন, "মুহাম্মদ আহমাদ রেযা খাঁন" তাঁর বুযর্গ পিতা তাঁকে "আহমাদ মিঞা" বলে ডাকতন । আর মহিয়সী মাতা পরম স্নেহের সাথে "আমান মিঞা" বলে সম্বোধন করতেন । আর তিনি নিজেই স্বীয় নামের পূর্বে "আব্দুল মোস্তফা" বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গোলাম সংযোজন করতেন ।
তিনি ১০ই শওয়াল ১২৭২ হিজরী মোতাবেক ১৪ ই জুন ১৮৫৬ খ্রীঃ ভারতের বেরেলী শহরের জাসুলী মহল্লাতে জন্ম গ্ৰহণ করেন । তিনি যুগের শ্রেষ্ঠতম মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ ছিলেন । ফেক্বাহ শাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ প্রতিভা ও পান্ডিত্য দেখে সকলেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন । তিনি কম বেশী পঞ্চান্ন প্রকার বিদ্যা ও বিষয়ে পারদর্শিতা লাভ করেছিলেন । এবং তিনি এক হাজারের অধিক কিতাব লিখেছেন । আল্লাহ ও রাসূলের ইশক্ব ও মোহাব্বত ভরপুর তাঁর বিশ্ব বিখ্যাত কোরআনের অনুবাদ 'কানযুল ঈমান' যা বিশ্বের দরবারে নজর কেড়েছে ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এবং ফেক্বাহ শাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে লেখা কিতাব 'ফাতাওয়া রাজাবিয়া' ত্রিশ খন্ডে সমাপ্ত যা পাঠ করে আরব ও আজমের মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফাক্বিহগন প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন । এবং অজস্র না'ত শরীফ ও মানক্বাবাত খনি (দেওয়ান) 'হাদায়েক্বে বাখশিশ' নামক কেতাব লিখে নবী প্রেমিক, ওলী প্রেমিকদের আত্মার খোরাক জুগিয়েছেন । সালামে রেযা বা নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ শরীফ ও সালাম পাঠ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে । বলা হয়ে থাকে, হযরত বেলালের আযান, ইমাম বুসিরির ক্বাসিদা ও ইমাম আহমদ রেযার সালাম এর কোন তুলনা হয় না । তাসাওফ ও তরিক্বত= তিনি ১২৯৪ হিজরী মোতাবেক ১৮৭৭খৃঃ সম্মানিত পিতা মৌলানা শাহ্ নাক্বী আলী খান সাহেবের সাথে হযরত সৈয়দ শাহ আলে রাসুল মারহাবী রহমাতুল্লাহ আলাইহি র দরবারে গিয়ে তাঁর হাতে বায়াত গ্ৰহণ করে সিলসিলা এ ক্বাদেরিয়ায় দাখিল হয়ে অল্প দিনেই আপন মুর্শিদে কামিলের খেলাফত ও বায়াত গ্ৰহণ করার ইজাযত বা অনুমতি লাভ করেন । মোট কথা তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বের অধিকারী অদম্য সাহসী ও আপন সিদ্ধান্তে অটল । তিনি কখনো অন্যায় এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অবমাননা কারীর সাথে আপোষ করেননি ।
জটিল ও কঠিন সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে দিতেন । ইসলাম ধর্মের সর্ব বিষয়ের প্রতি তাঁর খুরধার কলমের কালি লেখনী রূপে আত্ম প্রকাশ পেয়েছে । এই বিশ্ববরেণ্য আরিফ বিল্লাহ তথা এশিয়া মহাদেশের ইমাম আলা হযরত রহমাতুল্লাহ আলাইহি ২৫ শে সফর ১৩৪০ হিজরী মোতাবেক ২৮ শে অক্টোবর ১৯২১ সালে রোজ শুক্রবার জুমার আজানের সময় ইন্তেকাল করেন । ইন্না ইলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।
পরিশেষে মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে মিনতি সহকারে দুওয়া করি তিনি যেন এই মহান প্রতিভাবান মুজাদ্দিদ কে জান্নাতে সর্বোচ্চ স্থান দান করেন । আমীন বেজাহে সাইয়্যিদিল মুরসালিন ।
ইতি
মুহাম্মদ মইদুল ইসলাম রেজবী
মিলনগড় হাই মাদ্রাসা, দার্জিলিং
পোস্ট টি বেশি বেশি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।
Kounsa ilm hai jis me nahi hissa tera.
ڈالدی قلب میں عظمت مصطفیٰ
سیدی اعلٰیحضرت پہ لاکھوں سلام
বিশ্ব বরেণ্য মুজাদ্দিদ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রহমতুল্লাহি আলাইহি র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ।
তাঁর পিতামহ নাম রাখলেন, "মুহাম্মদ আহমাদ রেযা খাঁন" তাঁর বুযর্গ পিতা তাঁকে "আহমাদ মিঞা" বলে ডাকতন । আর মহিয়সী মাতা পরম স্নেহের সাথে "আমান মিঞা" বলে সম্বোধন করতেন । আর তিনি নিজেই স্বীয় নামের পূর্বে "আব্দুল মোস্তফা" বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গোলাম সংযোজন করতেন ।
তিনি ১০ই শওয়াল ১২৭২ হিজরী মোতাবেক ১৪ ই জুন ১৮৫৬ খ্রীঃ ভারতের বেরেলী শহরের জাসুলী মহল্লাতে জন্ম গ্ৰহণ করেন । তিনি যুগের শ্রেষ্ঠতম মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ ছিলেন । ফেক্বাহ শাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ প্রতিভা ও পান্ডিত্য দেখে সকলেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন । তিনি কম বেশী পঞ্চান্ন প্রকার বিদ্যা ও বিষয়ে পারদর্শিতা লাভ করেছিলেন । এবং তিনি এক হাজারের অধিক কিতাব লিখেছেন । আল্লাহ ও রাসূলের ইশক্ব ও মোহাব্বত ভরপুর তাঁর বিশ্ব বিখ্যাত কোরআনের অনুবাদ 'কানযুল ঈমান' যা বিশ্বের দরবারে নজর কেড়েছে ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এবং ফেক্বাহ শাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে লেখা কিতাব 'ফাতাওয়া রাজাবিয়া' ত্রিশ খন্ডে সমাপ্ত যা পাঠ করে আরব ও আজমের মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফাক্বিহগন প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন । এবং অজস্র না'ত শরীফ ও মানক্বাবাত খনি (দেওয়ান) 'হাদায়েক্বে বাখশিশ' নামক কেতাব লিখে নবী প্রেমিক, ওলী প্রেমিকদের আত্মার খোরাক জুগিয়েছেন । সালামে রেযা বা নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ শরীফ ও সালাম পাঠ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে । বলা হয়ে থাকে, হযরত বেলালের আযান, ইমাম বুসিরির ক্বাসিদা ও ইমাম আহমদ রেযার সালাম এর কোন তুলনা হয় না । তাসাওফ ও তরিক্বত= তিনি ১২৯৪ হিজরী মোতাবেক ১৮৭৭খৃঃ সম্মানিত পিতা মৌলানা শাহ্ নাক্বী আলী খান সাহেবের সাথে হযরত সৈয়দ শাহ আলে রাসুল মারহাবী রহমাতুল্লাহ আলাইহি র দরবারে গিয়ে তাঁর হাতে বায়াত গ্ৰহণ করে সিলসিলা এ ক্বাদেরিয়ায় দাখিল হয়ে অল্প দিনেই আপন মুর্শিদে কামিলের খেলাফত ও বায়াত গ্ৰহণ করার ইজাযত বা অনুমতি লাভ করেন । মোট কথা তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বের অধিকারী অদম্য সাহসী ও আপন সিদ্ধান্তে অটল । তিনি কখনো অন্যায় এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অবমাননা কারীর সাথে আপোষ করেননি ।
জটিল ও কঠিন সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে দিতেন । ইসলাম ধর্মের সর্ব বিষয়ের প্রতি তাঁর খুরধার কলমের কালি লেখনী রূপে আত্ম প্রকাশ পেয়েছে । এই বিশ্ববরেণ্য আরিফ বিল্লাহ তথা এশিয়া মহাদেশের ইমাম আলা হযরত রহমাতুল্লাহ আলাইহি ২৫ শে সফর ১৩৪০ হিজরী মোতাবেক ২৮ শে অক্টোবর ১৯২১ সালে রোজ শুক্রবার জুমার আজানের সময় ইন্তেকাল করেন । ইন্না ইলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।
পরিশেষে মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে মিনতি সহকারে দুওয়া করি তিনি যেন এই মহান প্রতিভাবান মুজাদ্দিদ কে জান্নাতে সর্বোচ্চ স্থান দান করেন । আমীন বেজাহে সাইয়্যিদিল মুরসালিন ।
ইতি
মুহাম্মদ মইদুল ইসলাম রেজবী
মিলনগড় হাই মাদ্রাসা, দার্জিলিং
পোস্ট টি বেশি বেশি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।
0 تبصرے:
ایک تبصرہ شائع کریں